• ১ শ্রাবণ ১৪৩২, শুক্রবার ১৮ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

New Life

নিবন্ধ

নতুন জীবন (ছোট গল্প)

সময় মানুষকে ভাবতে শেখায়, নতুন কিছু করতে শেখায়। জীবনের স্রোতে অনেক আপনজন দূরে সরে যায় আবার অনেক দূরের মানুষ কাছের হয়ে ওঠে। মানুষের মনে অনেক সময় দ্বন্দ্ব চলে আপনজনের দূরে চলে যাওয়ায় দুঃখ করবে না নতুন যাকে আপন করে পেল তাকে নিয়ে আনন্দ করবে।আমার গল্পের প্রধান চরিত্র অসীমা দেবীর মনেও এই মূহুর্তে সেরকমই চলছে।ফোনে কথা বলার পর চুপচাপ বসে আছেন চোখের কোলে জল অথচ মুখে যেন নিজের মত প্রকাশের আনন্দ। এমন সময় তিতাস এসে জিজ্ঞাসা করলো কে ফোন করেছিল মা? দাদা?আবার সেই বাড়ি বিক্রির কথা বলছিল? তুমি আজ বলে দিয়েছো তো? এক নিঃশ্বাসে কথা গুলো বলে মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকে।তোর কি মনে হয়? আমি বলতে পারবোনা?আজ আমি স্পষ্ট বলে দিয়েছি আমাকে নিয়ে তোদের এত চিন্তা করতে হবে না। আমার জন্য টাকাও পাঠানোর দরকার নেই। আমি যেটুকু পেনশন পাই তাই দিয়ে আমার একার চলে যাবে। আর আমার বাড়ি আমি কি করব সেটা আমি বুঝে নেব। তোমাদের ও নিয়ে ভাবতে হবে না।ওরা আসবে দেশে সামনের সপ্তাহে; এবার এখানে থাকবে বলছিল, আমি বলেছি এখন তো ঘর নেই তোমাদের থাকার মত , তোমরা বরং হোটেলেই উঠো না হলে বৌমার বাপের বাড়িতে। আমার সব ঘরে এখন মেয়েরা থাকে। কথা শুনে মনে হল একটু রেগে গেল, তা যাক গে। আমার নামে যখন বাড়ি তখন আমি বুঝে নেব।এই মেয়ে গুলো না থাকলে দুবছর আগে কোরোনা কালে আমার কি হতো একবার ভাব। আর তোর বাবা যখন হঠাৎ রাত্রি বেলা অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তখন তো এই মেয়েরাই অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হসপিটাল নিয়ে যাওয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা করা সব করে ছিল। তুই খবর পেয়ে তারপর তো এলি, আর তারা তো টাকা পাঠিয়ে দায়িত্ব মুক্ত। তোর বাবাকে বাঁচাতে পারিনি সেটা অন্য ব্যাপার কিন্তু এরা প্রতি মূহুর্তে আমাকে যেভাবে সাহায্য করছে আমি এদের কাছে ঋনী।তোর মনে আছে তোর দাদা বিদেশ চলে গেল তখনই কেমন ফাঁকা লাগত বাড়িটা? তুই তখন কলেজে পড়ছিলি। সারাদিন কলেজ তারপর পড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকতিস। মাঝে মাঝে তোর বন্ধুরা আসলে আমার খুব ভালো লাগত। তারপর তুই পাশ করে চাকরি নিয়ে চলে গেলি। একে একে তোদের দাদু, ঠাম্মা ও চলে গেলেন তখন বাড়িটা গিলে খেতে আসত। যদিও তোদের বাবা ততদিন রিটায়ার্ড করে গেছে, তবুও দুই বুড়ো বুড়ি আর কতক্ষণ ভালো লাগে। ঠিক সেই সময় তোর বন্ধু বিতানের দিদির কথা তুই আমাকে ফোন করে জানালি। আমার তখন মনে হলো ঈশ্বর যেন ওকে পাঠিয়েছিলেন আমাদের একাকিত্ব কাটানোর জন্য। তখনই আমি আর তোর বাবা ঠিক করলাম আমরা উপরে থাকব আর নিচের ঘর গুলোতে মেয়েদের পেয়িং গেস্ট রাখবো,সেই শুরু। তারপর তোর বাবার অসুখের সময় মেয়ে গুলো ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমাকে একমূহূর্ত একা ছাড়েনি। তুই তো দেখেছিস। তোর দাদা তো উনি চলে যাওয়ার পরে এলো।অথচ মানুষ টা ছেলে ছেলে করেই গেল। আর সেই যে ছেলে গেল আর এমুখো হয়নি। আমার যখন গলব্লাডার অপারেশন হলো তখন তো তোরা কেউ ছিলি না। আমাকে তো এই মেয়েরাই পালা করে করেছে সব। মায়ের মুখে এই কথা শোনার পর তিতাসের মুখটা কালো হয়ে গেলো। মাকে জড়িয়ে ধরলো।অসীমা দেবী বলতে থাকেন, এই মেয়েরা না আসলে জীবনের মানেটাই বুঝতাম না। আমারও যে গুন আছে আমিও যে কিছু করতে পারি জানতাম না। তোর দাদু ঠাম্মা তো আমি যে কিছু করতে পারি বোঝেই নি বা বুঝলে ও স্বীকার করেননি। আর তোর বাবাও তাই। আমি সারাজীবন শুনে এলাম আমি নাকি অকম্মা।তোরা ছেলে মেয়েরাও কোনো দিন বলিসনি কিছু। অথচ কোরোনার সময় যখন আমি ওদের রান্না করে খাওয়াই তখন ওরা বলে আমি নাকি অসাধারণ রান্না করি। টিনা বলে যে মেয়েটিকে আমি এখানে থাকতে বলি। হঠাৎ লকডাউন হওয়ার ফলে বাড়ি যেতে পারে নি আবার যেখানে থাকত তারাও থাকতে দেয়নি। আমি তখন ওর বন্ধু দিয়াকে বলি আমার এখানে নিয়ে আসতে।ও এসে আমার রান্নার প্রশংসা শুনে বলে ইউটিউবে চ্যানেল খোলার কথা।সব ওই ব্যবস্থা করে দেয়। প্রতি সপ্তাহে একটা করে রান্না করতে থাকি। না বিশেষ কিছু নয়, আমার ঘরে যা আছে তাই দিয়ে চটজলদি অন্যরকম কিছু রান্না। ওরা সব রেডি করে। আমি শুধু রান্না করি। লকডাউনে অল্প সামগ্রী দিয়ে অনেক কিছু করতে শিখেছি্ আর সেগুলো ইউটিউবে ওরা দিয়েছে। আজ আমার সেই চ্যানেল কত মানুষ দেখে। কতজন কতকিছু শিখতে চায়। আমি নতুন করে বাঁচতে শিখেছি। আমি এসব ছেড়ে সব বিক্রি করে ওদের হাতের পুতুল হতে পারব না।আমি তাই ঠিক করছি নিজের জন্য দুটি ঘর রেখে পুরোটাই মেস করে দেব।আর যারা বাইরে থেকে পড়তে আসছে অথচ টাকার ও অভাব আছে তাদের জন্য আমার এখানে বিশেষ সুবিধা থাকবে।মায়ের এই কথা শুনে তিতাস ও খুব খুশি হয়। মাকে বলে তোমার এই উদ্যোগে আমি তোমার পাশে আছি। এমন সময় পাওলি আর মধুরা আসে। ওরা চাকরি করে। ওরা কিছু টা কথা শুনতে পেয়ে জিজ্ঞাসা করে কিসের উদ্যোগ নিচ্ছেন জেঠিমা?তিতাস ওদের সব খুলে বলে। ওরা তখন বলে আমরাও আছি আপনার সাথে সবসময়।অসীমা দেবীর মুখ আনন্দে ঝলমল করে ওঠে। ওদের সবাই কে জড়িয়ে ধরে বলেন ওরে কোরোনা অনেকের অনেক ক্ষতি করেছে আর আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে।শ্রীমতি রাখি রায়বর্ধমান

নভেম্বর ২৭, ২০২২

ট্রেন্ডিং

দেশ

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে ৫০০০ কোটির বেশি মূল্যের প্রকল্পের সূচনা করবেন

আগামীকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন।১৯৫০ কোটি টাকার বেশি অর্থ বরাদ্দে তেল ও গ্যাস পরিকাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন লিমিটেড (BPCL)-এর সিটি গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন (CGD) প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘরোয়া, বাণিজ্যিক ও শিল্পগ্রাহকদের PNG সংযোগ প্রদান করা হবে, রিটেল আউটলেটে CNG উপলব্ধ থাকবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর-হলদিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইনের দুর্গাপুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত ১৩২ কিমি দীর্ঘ অংশটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যা প্রধানমন্ত্রী উর্জা গঙ্গা (PMUG) প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত জগদীশপুর-হলদিয়া ও বোকারো-ধামরা পাইপলাইন প্রকল্পের অংশ। আনুমানিক ১,১৯০ কোটি টাকার এই প্রকল্পটি পূর্ব বর্ধমান, হুগলি ও নদিয়া জেলার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের জন্য এই পাইপলাইন নির্মাণকালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে এবং এখন লক্ষাধিক পরিবারকে প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহে সহায়তা করবে।পরিবেশবান্ধব শক্তি উৎপাদনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশন এবং রঘুনাথপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনে ফ্লু গ্যাস ডিজালফারাইজেশন (FGD) সিস্টেম সংযোজনের প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার আনুমানিক ব্যয় ₹ ১,৪৫৭ কোটি টাকা। এটি এলাকার পরিবেশ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।রেল পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী পুরুলিয়া জেলার পুরুলিয়া-কোটশিলা রেললাইন দ্বিগুণ করার ৩৬ কিমি দীর্ঘ প্রকল্পটিও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন, যার ব্যয় প্রায় ৩৯০ কোটি। এই প্রকল্পটি জামশেদপুর, বোকারো ও ধানবাদের শিল্পাঞ্চলের সঙ্গে রাঁচি ও কলকাতার সংযোগ উন্নত করবে, পণ্য পরিবহনের গতি বাড়াবে এবং শিল্প ও ব্যবসার ক্ষেত্রে লজিস্টিক্স সুবিধা উন্নত করবে।সেতু ভারতম প্রকল্পের অধীনে পশ্চিম বর্ধমানের তোপসি ও পাণ্ডবেশ্বরে নির্মিত দুটি রোড ওভার ব্রিজ (ROBs)-এর উদ্বোধনও প্রধানমন্ত্রী করবেন, যার মোট ব্যয় প্রায় ৩৮০ কোটি টাকা। এই সেতুগুলি রেল লেভেল ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ এবং এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সহায়তা করবে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দুর্গাপুরে তেল ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, সড়ক ও রেল খাতে একাধিক উন্নয়নমূলক প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন ও জাতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করবেন

জুলাই ১৭, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থায় চেয়ারপারর্সন ও দুজন ভাইস চেয়ারপারর্সনের নাম ঘোষণা

বর্ধমান ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নতুন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যানদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এবার ২জন ভাই চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান হয়েছেন উজ্জ্বল প্রামানিক। জামালপুরের বিধায়ক ছিলেন। ভাইস চেয়রাম্যান দুজন হলেন কাকলি তা গুপ্তা ও আইনুল হক। এর আগে বিডিএর চেয়ারপার্সন ছিলেন কাকলি তা গুপ্তা ও ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক। চেয়ারপার্সন থেকে ভাইস চেয়ারপার্সন হয়ে গেলেন কাকলি তা গুপ্তা। আগের পদে রইলেন আইনুল হক। বর্ধমান পুরসভার দীর্ঘ দিনের চেয়ারম্যান ছিলেন আইনুল হক।

জুলাই ১৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কালনা থানার মৈত্রী কাপ কলঙ্কিত করল কেএসএসএ

পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে কালনা থানার পরিচালনায় শনিবার থেকে শুরু হলো মৈত্রী কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট। ১৬ দলকে নিয়ে দু-দিনের এই প্রতিযোগিতা হচ্ছে অঘোরনাথ পার্ক স্টেডিয়ামে। সাধারণ মানুষের সঙ্গে জনসংযোগ বাড়ানো ও ফুটবল প্রতিভা অন্বেষণের লক্ষ্যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ। যদিও প্রথম দিনেই এই টুর্নামেন্টে কালির দাগ লাগাল কালনা মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার কর্তা মানিক দাসের ভূমিকা।প্রি কোয়ার্টার ফাইনালের দ্বিতীয় ম্যাচে বিজাড়া সুহানা একাদশ যথাসময়ে দল নামাতে না পারায় ওয়াকওভার পায় পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি। সময়ানুবর্তিতার উপর জোর দিয়ে কড়া অবস্থান নিয়েছিলেন কালনা থানার আইসি সুজিত ভট্টাচার্য। এরপরেই শুরু হয় চালাকি। পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতিকে দ্বিতীয় ম্যাচের পরিবর্তে চতুর্থ ম্যাচ খেলতে বিজাড়ার এক কর্তা অনুরোধ করলেও তারা রাজি হয়নি। বিজাড়ার টিম লিস্ট জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া কেএসএসএ-র এক প্রভাবশালী আটকে দেন বলে অভিযোগ। এরপর তিনিই গিয়ে ওই দলের কয়েকজনকে কেএসএসএ-র হয়ে খেলানোর উদ্যোগ নেন। যদিও ওই ফুটবলাররা মাঠে নামতেই বেঁকে বসে তৃতীয় ম্যাচে কেএসএসএ কোচিং ক্যাম্পের প্রতিপক্ষ দল মধুপুর মারাং বুরু ক্লাব। শেষ অবধি কালনা থানার আইসির নির্দেশে তিন ফুটবলারকে বসাতে বাধ্য হয় কেএসএসএ। কাহানি মে ট্যুইস্ট এখানেই। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী পরাজিত দলের কাউকে খেলানো যাবে না। এমনকী রবিবারের খেলার যে নিয়ম প্রকাশ করা হয়েছে তাতে লেখা আছে, যদি কেউ এমন করে এবং তা প্রমাণিত হয় তাহলে সেই দলকে বহিষ্কার করা হবে। সেটাই যদি হবে, তাহলে যে দল এমন অপরাধ করল সেই দলের বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক পদক্ষেপ না নিয়ে প্রতিপক্ষ মধুপুরকে জয়ী ঘোষণা করা হলো না সেই প্রশ্ন উঠছে। দর্শক মহলেও বিষয়টি নিয়ে চর্চা চলতে থাকে।এরপর সেমিফাইনালের আগে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতি জানায় যে তিনজনকে আগেই জালিয়াতির জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁদের যেন না নামানো হয়। এই সময় সেই মানিক লোকজন জোগাড় করে আপত্তিকর আচরণ করেন। এমনকী মঞ্চে বসেই। প্রশ্ন হলো, টুর্নামেন্টে একটি দলের কর্তা এহেন আচরণ করেন কীভাবে, তাও পুলিশ আধিকারিকদের মঞ্চে বসে? প্রথমে জালিয়াতি করতে গিয়ে পার পাওয়া, তারপর মানিকের অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায় রেফারি ম্যানেজ।সেমিফাইনালে পূর্ব সাতগেছিয়া সংহতির সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল কেএসএসএ-র। খেলা যখন ১-১, টাইব্রেকারের দিকে ম্যাচ গড়াচ্ছে তখন রেফারি চরম ভুল সিদ্ধান্ত নেন। যার মাশুল গুনতে হয় সংহতিকে।বল কেএসএসএ-র ফুটবলারের গায়ে লেগে গোললাইন অতিক্রম করলেও কর্নার দেন রেফারি! সংহতি প্রতিবাদ জানালেও রেফারি কর্ণপাত করেননি। সেই মুভ থেকে জয়সূচক গোল পায় টেইন্টেড কেএসএসএ। যা দেখে মাঠে উপস্থিত অন্য রেফারিরাও বলেন ওটি কর্নার ছিল না। কর্নার না হলে গোলটিও হতো না। যে রেফারিরা ম্যাচটি খেলালেন তাঁরা স্থানীয় রেফারি। তাঁরা সংশ্লিষ্ট মানিক দাসকে মানিকদা বলে অভিহিত করছিলেন। অভিযোগ, ওই মানিক কেএসএসএ-তে নিজের থাকার প্রভাব খাটিয়ে রেফারি ম্যানেজ করেছেন। এমন গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে গোল জাজ রাখা হলো না কেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।খোঁজ নিয়ে জানা গেল, এই টুর্নামেন্ট খেলাতে এআইএফএফের রেফারি জোগাড়ের চেষ্টা করেছিল থানা। তবে তাঁদের পাওয়া যায়নি। এরপর সব ঠিক করা হয় মানিকের উপস্থিতিতেই। তিনি লটারির সময়েও হাজির ছিলেন। মানিকের এমন জালিয়াতির প্রচেষ্টা ও উদ্ধত আচরণে রুষ্ট অনেকেই।এক ক্লাবের কর্তা থেকে দর্শকদের কয়েকজন বলছিলেন, দেখে তো মনে হচ্ছে থানা নয়, মানিক সর্বেসর্বা! তিনি থানার কে? যদিও কালনা থানার উপর কোনও ক্ষোভ নেই কারও। পুলিশের টুর্নামেন্ট, রেফারির সিদ্ধান্ত শিরোধার্য বলে সবাই সব সিদ্ধান্ত মুখ বুজে মেনে নিলেন। কিন্তু আগাগোড়া পক্ষপাতদুষ্টতা কলঙ্কিত করল কালনা থানার সাধু উদ্যোগকে। সকলেই বলছিলেন, টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুযায়ী যে দলের প্রথম ম্যাচেই বহিষ্কার হয়ে যাওয়ার কথা, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সেই দল গায়ের জোরে ফাইনালে, এই বিষয়টি হাস্যকর। ফুটবলের স্পিরিটের সঙ্গে বেমানান। পুলিশের টুর্নামেন্ট খেলতে গিয়ে দুর্ভাগ্যজনক অভিজ্ঞতার শিকার হয়ে রুষ্ট অনেকেই। যে মানিকের জন্য কলঙ্কিত হলো এমন দারুণ এক টুর্নামেন্ট, তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয় থানা ও কেএসএসএ-র তরফে সেটাই দেখার। আর কিছু না হলে ফুটবল মহলের কাছে কি সদর্থক বার্তা যাবে? প্রশ্ন থেকেই গেল।

জুলাই ১২, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal